CDN এর পুরো নাম হলো Content delivery network (কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক)।
এটি ব্যাবহার করে আমরা ব্যাবহারকারী এর কাছের সার্ভারে আমাদের ওয়েবসাইট এর ডাটা ক্যাশে হিসেবে এবং edge কম্পিউটিং এর মাধ্যমে স্টোর করে রাখতে পারি।
এবং যখনই কোনো ইউজার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তখন ওই ইউজার এর কাজের CDN থেকে ডাটা ট্রান্সফার হবে ওই ভিজিটর এর কাছে।
যার ফলে ভিজিটর এর ডিভাইস এ website টি দ্রুত খুলে যাবে।
দ্রুত load হওয়া website গুগলে রাঙ্ক হওয়ার সম্ভবনা বেশি। কারণ যদি আপনার ওয়েবসাইট টি ধীরে ধীরে ধীরে লোড হয় তাহলে ইউজার আপনার ওয়েবসাইটটি পছন্দ করবে না।
যদি ওয়েবসাইটে খুলতে বেশি সময় লাগে তাহলে ওই website কে ইউজার বন্ধ করে অন্য ওয়েবসাইটে যেতে পারে।
এর জন্য website এর বাউন্স rate বাড়বে।
যদি ইউজার google সার্চ এ আপনার ওয়েবসাইট টি খুলতে দেরি হওয়ার জন্য অন্য website এ যায়। এতে google ভাববে আপনার website টি ইউজার রা পছন্দ করেছেন না।
এবং আপনার ওয়েবসাইট দিয়ে ধীরে ধীরে গুগলের সার্চ পেজ থেকে নিচে নামতে শুরু করবে এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর কম আসবে।
আমরা সবাই জানি ওয়েবসাইটে ভিজিটর কমলে আমাদের ইনকাম কমে যাবে। যেটা আমরা কেউই চায় না।
তাই website fast হওয়ার খুবই জরুরী।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে অ্যামাজন কোম্পানি ওয়েবসাইট যদি এক সেকেন্ড দেরিতে করে তাহলে অ্যামাজনের এতেই 1 বিলিয়ন ডলারেরও বেশি টাকা লস হয়।
অর্থাৎ ওয়েবসাইট স্পিড স্লো হওয়ার জন্য ইউজার আমাজন website জিনিসপত্র কিনে না । শুধুমাত্র ১ সেকেন্ড দেরি টে website খোলার জন্য।
তাই কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পীড খুবই বেড়ে যায় যার ফলে ইউজাররা ব্যক্তি কমসময়ের মধ্যে ভিজিট করতে সক্ষম হয়।
CDN কিভাবে কাজ করে?
সাধারণত আমাদের ওয়েবসাইট এর ডাটা হোস্টিং সার্ভার এরমধ্যে সঞ্চিত থাকে।
যখন আমরা এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করি তখন ওই সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটের ডেটাগুলি লোড হয় আমার ডিভাইস এ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে এবং আমাদের মোবাইলে দেখতে পাই।
কিন্তুু হোস্টিং সার্ভার যদি আমেরিকাতে থাকে আর আপনি যদি ভারত কিংবা পার্শ্ববর্তী জায়গা থেকে ওই website টি ভিজিট করেন তখন ওই website এর ডাটা জার্মানি থেকে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে আপনার ফোনে আসতে অনেকটা দেরি হয়।কারণ হলো দূরত্বের জন্য।
কিন্তুু CDN ব্যাবহার করলে, আপনি যখনই ওই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠাবেন, তখনো রিকোয়েস্টটি সরাসরি হোস্টিং সার্ভারে না গিয়ে, ওই কাজটি পৌছবে আপনার কাছে কোন সিডিএন সার্ভারে।
এবং আপনার কাছের কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক সার্ভারটি ,হোস্টিং সার্ভারে রিকোয়েস্ট পাঠাবে ওই ওয়েবসাইটটি লোড করার জন্য। CDN সার্ভারটি ওয়েবসাইট যেই পেজ টি দেখার জন্য request পাঠিয়েছিলেন সেই পেজ টি লোড করে নিজেদের কম্পিউটারে ক্যাচ বানিয়ে রেখে দেবে। এবং ওই ক্যাচ টি দেখাবে যে ভিজিটর আপনার website টিকে ভিজিট করার চেষ্টা করেছিলেন।
পরবর্তীকালে অন্য কোন ভিজিটর যখন ওই ওয়েবসাইটের ওই পেজটি দেখার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠাবে আপনার কাছে কোন জায়গা থেকে। তখন ওই রিকোয়েস্ট content delivery network সার্ভারে পৌঁছাবে এবং content delivery network সার্ভার এ থাকা ওই পেজের ক্যাচ থেকে ওই পেজ টি লোড হবে।
এতে ওয়েবসাইটটি কাছের সার্ভার এ থাকা ক্যাচ থেকে লোড হচ্ছে তাই স্পীড খুবই দ্রুত হয়। সেই সঙ্গে আপনার হোস্টিং এর ওপর সরাসরি কোনো ভিজিটর ভিজিট করবে না।
যখনই কোন নতুন জায়গা থেকে কোন পেজ লোড করবে , তখন সিডিএন সার্ভার ওই হোস্টিং সার্ভার থেকে ওই পেজটি লোড করবে এবং ক্যাচ হিসেবে রেখে দেবো। পরবর্তী কালে কোনো ভিসিটর ওই ওয়েবসাইট টি ভিসিট করলে তখন রিকোয়েস্ট টি কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক সার্ভার এ যাবে। আর content delivery network সার্ভার এর মধ্যে থাকা ক্যাচ থেকে ওয়েবসাইট টি লোড হবে। এতে খুবই ফাস্ট লোড হবে।
তাই প্রথমবার যখন কোনো জায়গা থেকে ওয়েবসাইট ভিজিট করবে কিছুটা স্লো হবে কারণ কাছের সিডিএনসার্ভার ওই ওয়েবসাইট থেকে পেজ টি লোড করবে তারপর আপনি সিডন সার্ভার থেকে ওয়েবসাইট টি এক্সেস করতে পারবেন।
দ্বিতীয়বার যখন ওই জায়গা থেকে একই পেজ ভিজিট করবেন তখন খুব ফাস্ট হবে কারণ ওই পেইজের ক্যাশ আপনার কাছের CDN সার্ভারে সঞ্চিত আছে।
আপনি ছাড়া অন্য কোন ভিজিটরও যদি ওই সিডিন সার্ভার এর কাছাকাছি থেকে ওই পেজ টি লোড করে তাহলে, ওই ক্যাচ হওয়া পেজটি লোড হবে content delivery network থেকে তাই খুব ফাস্ট হবে করে।
কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক এর সুবিধা
এটি ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়বে ফলে ভিসিটর ওয়েবসাইট ভিসিট করলে লোড হওয়ার সমস্যা তে পড়বে না।
ওয়েবসাইটএ যদি DoS attack হয় তাহলে সিডিএন ব্যবহার করলে সুরক্ষিত থাকবে, কারণ ওয়েবসাইট এর হোস্টিং সার্ভার এর এ সরাসরি কোনো ভাবে কেউ ভিসিট করতে পারবে না। যা কিছু হবে তা CDN সার্ভার এর মাধ্যমে। যে পেজ টি লোড করতে চাইবে সেই পেজ টি লোড হবে content delivery network এর সার্ভার এ. এবং তারপর সিডিএন সার্ভার থেকে ওই পেজ টি লোড হবে ভিসিটর এর ডিভাইস এ। তাই ওয়েবসাইটের সিকিউরিটি বাড়বে।
SSL সার্টিফিকেট এর দরকার হয়না , কারণ যেহেতও কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক এ থেকে ডাটা টি ট্রান্সফার হয় তাই সিডিএন সার্ভার এর SSL সার্টিফিকেট দেখায়। তাই SSL সার্টিফিকেট এর দরকার হয় না। আপনার ওয়েবসাইটে যদি SSL নাও থাকে তাহলেও, কোন ভিসিটর যখন ওয়েবসাইট টি ভিসিট করবে তখন SSL সার্টিফিকেট দেখাবে।
হোস্টিং সার্ভার এর ওপর লোড কম পরে, কারণ বেশিরভাগ ডাটা ক্যাশ হিসেবে সিডন এর সার্ভার এ থাকে তাই যখনি ওয়েবসাইটএ ভিসিটর আসে ওই ভিসিটর CDN থেকে ডাটা নেয়। তাই হোস্টিং সার্ভার এর ওপর লোড কম পরে। সেই সংগে ব্যান্ডউইডথ কম খরচ হয়। বেশিভাগ হোস্টিং কোম্পানি একটি ব্যান্ডউইথ এর লিমিট বেঁধে দেয়। ওই ব্যান্ডউইডথ এর বেশি ব্যান্ডউইথ ডাটা ট্রান্সফার করতে দেবে না। তাই যেহেতু ব্যান্ডউইডথ কম লাগে তাই বেশি ভিসিটর ভিসিট করতে পারবে।
CDN কোম্পানি
- Cloudflare
- Akamai
- Amazon CloudFront
- Google Cloud CDN
- StackPath
- Sucuri
- KeyCDN
- Rackspace
- CacheFly
এছাড়াও অনেক সিডিএন কোম্পানি আছে যারা কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক সার্ভিস provide করে।
এগুলির মধ্যে ক্লাউডফ্লেয়ার সব থেকে বহুল ব্যবহৃত একটু content delivery network service. ক্লাউডফ্লেয়ার ফ্রি তে সিডিএনসার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন সেই সংগে ক্লাউডফ্লেয়ারের সিডন সার্ভার এর সংখ্যাও পৃথিবীজুড়ে অনেকআছে।
তাই ক্লাউডফ্লেয়ারে একাউন্ট বানিয়ে নিজের ওয়েবসাইট অ্যাড করতে পারেন।
(যদি আপনি জানতে চান কিভাবে ক্লাউডফ্লেয়ারে ওয়েবসাইট যুক্ত করবেন তাহলে কমেন্ট করুন। আপনি এই সমন্ধে জানিয়ে দেব কিভাবে করতে হবে )
উপসংহার
সিডিএন ব্যবহার করলে যখনই ওয়েবসাইট লোড করবেন তখন ওই রিকোয়েস্ট টি কাছের কোনো সিডিএন সার্ভার এ যাবে। এবং সিডিএন সার্ভার ওই ওয়েবসাইট টি হোস্টিং সার্ভার থেকে লোড করে দেখাবে।
সেই সংগে সিডিএন সার্ভার ওই পেজটি কে ক্যাশ বানিয়ে রেখে দেবে তাহলে পরবর্তীকালে ওই সিডিএন সার্ভার এ যদি কোনো রিকোয়েস্ট আসে তাহলে ওই ক্যাশ থেকে ওয়েবসাইট টি লোড হবে।
যেহেতু CDN সার্ভার আপনার কাছে থাকে তাই দুরত্ত কম হয় এবং ওয়েবসাইট খুব তাড়াতাড়ি লোড হয়।
Good information. Lucky me I found your website by accident (stumbleupon). I have saved it for later!